বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে সমৃদ্ধ, আর জীবনযাপনের পথে বিজ্ঞান উদ্ভাবনী মনন ও সৃজনশীল সত্ত্বার বিকাশ লাভে রেখেছে অপরিসীম ভূমিকা। বিজ্ঞানের প্রতি মমত্ববোধ ও নির্ভরতা গভীর জীবনবোধের সৃষ্টি করে, আর অজানা জগতের অন্ধকারে আলোর দিগন্তের পথ দেখায়।
বিজ্ঞানের আলোময় সেই দিগন্তেরই সন্ধান লাভের সুযোগ পেলেন বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড বিজয়ী ছয় শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মত অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিন কোরিয়ার ডেগু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অলিম্পিয়াড। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া দলে ছিলেন ছয় শিক্ষার্থী, তাহমিদ মোসাদ্দেক, ফারদীম মুনির, ফারহান রওনক, রুবাইয়াত ইকোলো, সালসাবিল আশরাফ ও শামসাদ এরাম। তাঁদের দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারসিম মান্নান মোহাম্মদী, ব্র্যাকের শিক্ষা গবেষক ফারহানা মান্নান ও এসপিএসবির সহকারী একাডেমিক কোঅরডিনেটর শিবলি বিন সারোয়ার।
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃষ্টিশীলতার সাথে সমন্বিত জীবনধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এই আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হল। ২০০৪ থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম অংশ নিল বাংলাদেশ। আর এধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে আরও সহজে, এটিই বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট সকলের।
তথ্য সূত্র : কালের কণ্ঠ (আন্তর্জাতিক সায়েন্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ,৪ ডিসেম্বর ২০১৫) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।