২০১৫ সালে যে পাঁচটি এসএইও ট্রেন্ডকে বিবেচনায় রাখা উচিত . 5 SEO Trends You Need to Consider for 2015

আশা করি আপনারা "সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যুগ শেষ" এবং "সোশ্যাল মিডিয়াই হলো নতুন সার্চ" এই দু'টি সর্বশেষ অত্যুক্তিতে বিশ্বাস করেননা। বাস্তবতা হলো, এসইও কতগুলো বহুল পরীক্ষিত এসইও কৌশল, কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশনের মধ্যকার সংযুক্তিতে বিবর্তিত হচ্ছে। এটি আরও বেশী জটিল হয়েছে কিন্তু এর মূল্য সামান্য পরিমাণেও কমেনি। এই ধারণাটি মাথায় রেখে ২০১৫ সালের পাঁচটি এসইও ট্রেন্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, যেগুলো আপনি এবছর পরিকল্পনা করবেন।

১) সিম্যান্টিক সার্চ

গুগল সম্প্রতি সার্চ এলগরিদমের "Hummingbird" আপডেট প্রকাশ করেছে। পূর্বের পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেটের মতো না হয়ে হামিংবার্ড আপডেটটি ছিল সম্পূর্নরূপে সিম্যান্টিক সার্চ নির্ভর। যেখানে সিম্যান্টিক হলো ভাষাতত্ত্বের একটি বিভাগ যা শব্দের অর্থঘটিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। সিম্যান্টিক সার্চ সার্চ কোয়ারির (আপনি সার্চ বারে যা লিখে সার্চ করেন) অর্থ এবং যে ব্যক্তি সার্চ করছেন তার মনোভাব বুঝার চেষ্টা করে। সার্চ ইঞ্জিন ল্যান্ডের ডেনি সুলিভান বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেনঃ

"হামিংবার্ড কোয়ারির প্রত্যকটি শব্দের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেয় যাতে পুরো কোয়ারিটিকে নিশ্চিত করা যায়-- নির্দিষ্ট কতগুলো শব্দ নয় বরং পুরো বাক্য বা আলোচনা বা অর্থকে বিবেচনায় নেয়া হয়। লক্ষ্য হলো, পেজের অর্থের সাথে সার্চের অর্থ মেলানো; এখানে অল্প কিছু কিওয়ার্ড কে আর ধর্তব্যে নেয়া হয়না।"

তাই এক্ষেত্রে সংলাপমূলক কোয়ারি, লং টেইল কিওয়ার্ড এবং লেটেন্ট সিম্যান্টিক মার্কআপ যেমন কিওয়ার্ড বা শব্দের বহুবচন এবং সমার্থক শব্দগুলোর দিকে মনযোগ দিতে হবে। এইচটিএমএল মার্কআপের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেন যতটা সম্ভব সিম্যান্টিক হয়। নতুন যে সিম্যান্টিক ট্যাগগুলো স্কিমা ডট অর্গ থেকে এসেছে তা ওয়েবপেজ তৈরির সময় ব্যবহার করতে হবে। এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্রমাগত গুরুত্ব বৃদ্ধিকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

২) মোবাইল সার্চ অপটিমাইজেশন

গুগলের তথ্য অনুযায়ী মোবাইল সার্চের ৫০ভাগ কোয়ারিই হয়েছে অঞ্চলগত দিক লক্ষ্য করে। এর মানে হল সার্চকারি ব্যক্তিরা স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে খুঁজেছেন যেন তারা ইন-স্টোর কেনাকাটা করতে পারেন। তারপরও সব মোবাইল সার্চ অঞ্চলবিশেষ লক্ষ্য করে করা হয়নি।

তাই এক্ষেত্রে মোবাইল সার্চের ব্যবহার বৃদ্ধি, মোবাইল-ওনলি ইউজারদের উত্থান এবং গুগলের নতুন ''মোবাইল ফ্রেন্ডলি" লেবেলগুলো কিভাবে সার্চ রেজাল্টকে প্রভাবিত করছে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। বলাবাহুল্য, সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোনের ব্যবহারের বৃদ্ধিকে ভোক্তা সংগ্রহের একটি প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ধরে নিতে হবে।

৩) সোশ্যাল সিগনেলগুলোর অকার্যকারিতা

সোশ্যাল সিগনেল যেমন টুইট, শেয়ার ও গুগলপ্লাস সার্চ রেঙ্কিংকে প্রভাবিত করে? তা করে, কিন্তু আপনি যেভাবে ভাবেন তেমন নয়।

সব সময়ই বলা হয়েছে যে টপ সার্চ রেঙ্কিংয়ে উপরের যাওয়ার উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার। এটি সেই ২০১০ সালের কথা যখন গুগলের ওয়েব-স্পাম বিষয়ক প্রধান বলেছিলেন, আমরা আমাদের সার্চ রেঙ্কিং এ টুইটার ও ফেসবুকের লিংক ও রেঙ্কিংকে ব্যবহার করি। কিন্তু ২০১৪ সালে যখন তাকে একই প্রশ্ন করা হয় তখন বলেছিলেন, বর্তমানে আমাদের সার্চ এলগরিদমে তেমন কোন সিগন্যাল নেই।"

তারপরও কিছু সার্চ অপটিমাইজাররা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে সোশ্যাল শেয়ার সার্চে সত্যিকার অর্থেই প্রভাব রাখে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল একেবারেই অপ্রয়োজনীয় তেমন বলা যাবেনা তবে তা আরও বৃহৎ পরিসরে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে অপটিমাইজ করতে হবে। আপনার এবং অন্যদের শেয়ার করা কন্টেন্ট ব্যাকলিংক তৈরি করে, আরও ট্রাফিককে আপনার সাইটের দিকে ধাবিত করে যা আপনার ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্ট কোয়ারিকে বাড়িয়ে দেয়।

৪) আর্নড লিংকের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বৃদ্ধি

একটি সফল এসইও স্ট্র্যাটেজি নির্ভর করে গুণগত ও পরিমাণগত ব্যাকলিংকের উপর। এক্ষেত্রে আপনার নিজের তৈরি লিংক যেমন আপনার ওয়েব পেজ ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, পেইড লিংক যেমন গুগল অ্যাডওয়ার্ড বিজ্ঞাপন, টুইটার প্রমোট অথবা অন্যান্য সংস্থার বিজ্ঞাপনী সেবার লিংকের চেয়ে অর্জিত লিংক যেগুলো অন্যান্যরা স্বেচ্ছায় আপনার পণ্য সম্পর্কে আলোচনা ও শেয়ারের মাধ্যমে তৈরি করেছে সেগুলোর গুরুত্ব সার্চ রেঙ্কিংএ অনেক অনেক বেশি। সবসময় লো-কোয়ালিটি লিংক তৈরি থেকে বিরত থাকা উচিত যা আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে পেনালাইজড করতে পারে।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে উচ্চমানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরিই এসইওর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! তাছাড়া সামজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অফলাইন সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং ব্রোকেন লিংক বিল্ডিংকেও মাথায় রাখতে হবে।

৫) ব্র্যান্ড সম্পর্কে উল্লেখ এবং সাইটেশন

একটি সাইটেশন হলো আপনার ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোন ওয়েব সাইটে আপনার ব্র্যান্ডের নাম, ঠিকান, ফোন নাম্বার সম্পর্কে যেকোন উদ্দৃতি। একটি কো-সাইটেশন হলো আপনার ব্যবসায়ের মতো একই রকম অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইটে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কিত উল্যেখ। এক্ষেত্রে লোকাল সাইটেশন, ইন্ডাস্ট্রি সাইটেশন ও নিচ্‌(Niche) সাইটেশন সম্পর্কে জানতে হবে।

সাইট স্ট্রাকচার সম্পর্কে বোনাস টিপ

আপনার সাইটটি ভিজিটরদের কাছে যত বেশী আকর্শনীয় হবে ততো বেশি তা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। তাই সাইটকে যতটা সম্ভব সহজবোধ্য করুন। বাউন্স রেটকে কমানো এবং সাইটে ভিজিটরদের অতিবাহিত সময় বাড়ানোকে গুরুত্ব দিয়ে সাইট ডিজাইন করুন। একটি ত্রুটিমুক্ত এক্সএমএল সাইট ম্যাপ সাবমিট করুন। সাইটের ইউজেবিলিটি বৃদ্ধি করুন।

পরিশেষে, সন্দেহ নেই এসইও বিবর্তিত হয়েছে মানুষ ও সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের রুচির দিকে লক্ষ্য রেখে। সিম্যান্টিক সার্চ, মোবাইল ওয়েব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রাসঙ্গিকতার উত্থান আপনার কন্টেন্টকে মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে; কিন্তু তা আগের চেয়ে আরও বেশি জটিলতা ও নতুন নতুন সমস্যাকে অন্তর্ভূক্ত করেছে। তবে অনেক পরিবর্তনের মধ্যেও কিছু জিনিস একই রকম রয়ে গেছেঃ প্রাসঙ্গিক উচ্চমানের কন্টেন্ট এবং এর ভালো উপসস্থাপন আপনার জন্য কাজে লাগবে। এবং লিংক অ্যাসিস্ট্যান্ট এর এসইও পাওয়ার স্যুইট এসইও টুল আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহনে ও আপনার সাইটকে প্রমোট করতে ভূমিকা রাখবে। তাই আজই এসইও পাওয়ার স্যুইটকে ট্রাই করে দেখুন।

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7%e0%a7%ab-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a6%8f%e0%a6%87%e0%a6%93/