ওয়েব সার্ভিস কুইক গাইড

ওয়েব সার্ভিস কী?

বিভিন্ন সংস্থা ও বই পত্র থেকে আমরা ওয়েব সার্ভিসের সংজ্ঞা পেয়ে থাকি। এদের মধ্যে কয়েকটি হল,
• ওয়েব সার্ভিস হল সফটওয়ারগত ব্যবস্থা যা ইন্টারনেটে সক্রিয়, আর এক্সএমএল মেসেজিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। ওয়েবের সকল যোগাযোগ এনকোডিঙের জন্য এক্সএমএল ব্যবহৃত হয়। যেমন, ধরা যাক একজন গ্রাহক এক্সএমএল ম্যাসেজ ব্যবহার করে বার্তা পাঠায়, এরপর এক্সএমএল রেসপন্সের জন্য অপেক্ষা করে। যেহেতু সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাটি এক্সএমএলের অধীনে, তাই ওয়েব সার্ভিসগুলো কোনও অপারেটিং সিস্টেম বা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উপর নির্ভর করে থাকে না। জাভা পার্লের সাথে কাজ করতে পারে, উইন্ডোজ এপ্লিকেশন লিনাক্সের সাথে কাজ করতে পারে।

• ওয়েব সার্ভিস স্বনির্ভর এপ্লিকেশন যা পণ্য, প্রক্রিয়া ও সাপ্লাই চেইন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নেটওয়ার্কের সাহায্যে বিস্তৃত, প্রকাশ, নির্ণীত ও বার্তা প্রেরণ করা যায়। এই এপ্লিকেশন লোকাল হতে পারে, বিতরণকৃত বা ওয়েব ভিত্তিকও হতে পারে। ওয়েব সার্ভিসগুলো মূলত শীর্ষস্থানীয় ওপেন স্ট্যান্ডার্ড যেমন টিসিপি/আইপি, এইচটিটিপি, জাভা, এইচটিএমএল, আর এক্সএমএল ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।

• ওয়েব সার্ভিসগুলো এক্সএমএল ভিত্তিক তথ্য আদান প্রদান ব্যবস্থা যা সরাসরি এপ্লিকেশন টু এপ্লিকেশন মিথস্ক্রিয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই ব্যবস্থায় প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট, ম্যাসেজ ও ডকুমেন্ট সংযোজিত থাকতে পারে।

• ওয়েব সার্ভিস ওপেন প্রটোকল, স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদির সংগ্রহ যা এপ্লিকেশন ও সিস্টেমে ডাটা শেয়ারিঙের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে লিখিত সফটওয়ার এপ্লিকেশন, যা বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইন্টারনেট জাতীয় নেটওয়ার্কে ডাটা এক্সচেঞ্জের জন্য এমনভাবে ওয়েব সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে যা একক কম্পিউটারে আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগের সমতুল্য( যেমন জাভা ও পাইথন, উইন্ডোজ ও লিনাক্স)।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সার্ভিস হল এমন সার্ভিস যা কিনা ঃ
- ইন্টারনেট ও ব্যাক্তিগত নেটওয়ার্ক(ইন্ট্রানেট) এ পাওয়া যায়।
- বিশেষায়িত এক্সএমএল ম্যাসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে
- অন্য কোনও অপারেটিং সিস্টেম ও প্রোগ্রামিং ভাষার উপর নির্ভরশীল নয়।
- কমন এক্স এমএল গ্রামারের মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত।
- সরল অনুসন্ধান কৌশলের মাধ্যমে একে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

ওয়েব সার্ভিসের উপাদানসমূহঃ

ওয়েব সার্ভিসের বেসিক প্লাটফর্ম হল এক্সএমএল আর এইচটিটিপি। সমস্ত আদর্শ ওয়েব সার্ভিস নিচের উপাদানগুলোর উপর ভিত্তি করে কাজ করে।

• এসওএপি (সিম্পল অবজেক্ট এক্সেস প্রটোকল)
• ইউডিডিআই বা ইউনিভার্সাল ডেসক্রিপশন, ডিসকভারি এন্ড ইন্টিগ্রেশন
• ডবলুএসডিএল বা ওয়েব সার্ভিসেস ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ

এই সমস্ত বিষয়গুলো ওয়েব সার্ভিসের আর্কিটেকচার বিষয়ের আওতায় আলোচনা করা হয়।

ওয়েব সার্ভিস কীভাবে কাজ করে?
ওয়েব সার্ভিস কিছু ওপেন স্ট্যান্ডার্ড যেমন এইচটিএমএল, এক্সএমএল, ডবলুএসডিএল বা এসওএপি ব্যবহার করে বিভিন্ন এপ্লিকেশনের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি করে। ওয়েব সার্ভিস মূলতঃ
• ডাটা ট্যাগ করতে এক্সএমএল,
• ম্যাসেজ ট্রান্সফার করতে এসওএপি,
• আর সার্ভিসের প্রাপ্যতা নির্দেশ করতে ডবলুএসডিএলের
সাহায্য নিয়ে থাকে ।

আমরা সোলারিসে জাভা ভিত্তিক ওয়েব সার্ভিস তৈরি করতে পারি যাতে উইন্ডোজে চালিত ভিজুয়াল বেসিক প্রোগ্রাম থেকে আমরা প্রবেশ করতে পারি।

আমরা উইন্ডোজে সি শার্প ব্যবহার করে নতুন এমন ওয়েব সার্ভিস তৈরি করতে পারি যা জাভাস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক আর লিনাক্সে চলে।

উদাহরনঃ
একটি সাধারণ একাউন্ট-ম্যানেজমেন্ট এবং অর্ডার প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার কথা ধরা যাক। একাউন্টের কর্মীরা নতুন একাউন্ট তৈরির জন্য ও নতুন গ্রাহকদের বিষয়াদি তালিকাভুক্ত করার জন্য ভিজুয়াল বেসিক বা জেএসপি দিয়ে তৈরি ক্লায়েন্ট এপ্লিকেশন ব্যবহার করেন।

এই সিস্টেমের প্রক্রিয়াগত লজিক জাভায় লিখিত এবং সোলারিস মেশিনের সমন্বয়ে হয়ে থাকে, যা তথ্য সংগ্রহের জন্য ডাটাবেসের সাথেও সমন্বিত থাকতে পারে।

এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ধাপগুলো নিচে বিবৃত হল।
• ক্লায়েন্ট প্রোগ্রাম একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ইনফরমেশনগুলোকে একটি এসওএপি ম্যাসেজে একত্রিত করে।
• এসওএপি ম্যাসেজকে এইচটিটিপি পোস্ট রিকোয়েস্টের অংশ হিসেবে ওয়েব সার্ভিসে পাঠানো হয়।
• ওয়েব সার্ভিস এসওএপি রিকোয়েস্টকে আনপ্যাক করে এবং এটিকে এমন কম্যান্ডে কনভার্ট করে যা এপ্লিকেশনটি বুঝতে পারে।
• এপ্লিকেশনটি প্রয়োজনীয় উপায়ে তথ্যটিকে সাজায় ও গ্রাহকের জন্য একটি অনন্য একাউন্ট নাম্বারসহ সাড়া দেয়।
• এরপর ওয়েব সার্ভিস সেই সাড়াকে এসওএপি ম্যাসেজরূপে প্যাকেজ আকারে সজ্জিত করে, তারপর একে ক্লায়েন্ট প্রোগ্রামে এর এইচটিটিপি রিকোয়েস্টের জবাব হিসেবে প্রেরণ করে।
• ক্লায়েন্ট প্রোগ্রাম একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ফলাফল সংরক্ষণের জন্য এসওএপি ম্যাসেজকে আনপ্যাক করে ।
কেন ওয়েব সার্ভিস?

ওয়েব সার্ভিস ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিচে দেয়া হল,
• নেটওয়ার্কে থাকা ফাংশনগুলো বিবৃত করেঃ ওয়েব সার্ভিস বাবস্থাপনাকৃত কোডের সমন্বয় যা কিনা এইচটিটিপি ব্যবহার করে করা হয়, অর্থাৎ এইচটিটিপি রিকোয়েস্টের মাধ্যমে এরা সমন্বিত হয়। ওয়েব সার্ভিস নেটওয়ার্কে থাকা আমাদের কোডের ফাংশনালিটি প্রকাশের সুযোগ দেয়। একবার নেটওয়ার্কে প্রকাশিত হয়ে গেলে অন্য এপ্লিকেশনও আমাদের প্রোগ্রামের ফাংশনালিটি ব্যবহার করতে পারে।
• আন্তঃক্রিয়াঃ ওয়েব সার্ভিস বিভিন্ন এপ্লিকেশনের পরস্পরের মধ্যে ডাটা আদানপ্রদান ও সার্ভিসের সমন্বয়ের সুযোগ দেয়। অন্যান্য এপ্লিকেশনও ওয়েব সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে। যেমন, ভিবি অথবা ডট নেট এপ্লিকেশন জাভার সাথে সমন্বয় করতে পারে(বিপরীতক্রমও সম্ভব) । এপ্লিকেশনের প্লাটফর্ম আর প্রযুক্তিকে স্বাধীন রাখার ক্ষেত্রে ওয়েব সার্ভিস ভূমিকা রাখে।
• প্রমিত(আদর্শায়িত) প্রটোকলঃ ওয়েব সার্ভিস যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল ব্যবহার করে। প্রটোকল স্টাকের চারটি লেয়ারই(সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট, এক্সএমএল ম্যাসেজিং, সার্ভিস ডেসক্রিপশন ও সার্ভিস ডিসকভারি লেয়ার) উঁচু মানের প্রটোকল ব্যবহার করে। প্রটোকল স্টাকের এই প্রমিতকরণ ব্যবসায়ের অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা সৃষ্টি করে যেমন, বহু বিকল্প, প্রতিযোগিতাজনিত যে খরচ তা কমানো, মান বৃদ্ধি ইত্যাদি।
• যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম খরচঃ ওয়েব সার্ভিস এইচটিটিপি প্রটোকলে এসওএপি ব্যবহার করে, তাই ওয়েব সার্ভিস ব্যবহারের জন্য আমরা আমাদের বিদ্যমান(অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের) ইন্টারনেট ব্যবহার করেই এটি ব্যবহার করতে পারি। এই সমাধান ইডিআই বা বিটুবি ইত্যাদির তুলনায় অনেক কম খরচের, আর ওয়েব সার্ভিসকে অন্য নির্ভরযোগ্য ট্রান্সপোর্ট মেকানিজম যেমন এফটিপি ইত্যাদিতেও ব্যবহার করা যায়।

ওয়েব সার্ভিসের বৈশিষ্ট্যঃ

এক্সএমএল ভিত্তিকঃ ওয়েব সার্ভিস ডাটা রিপ্রেজেন্টেশন ও ডাটা ট্রান্সপোর্টেশন লেয়ারে এক্সএমএল ব্যবহার করে। এক্সএমএল ব্যবহার করার ফলে নেটওয়ার্কিং, অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের বাধা থাকে না। ওয়েব সার্ভিস ভিত্তিক এপ্লিকেশনগুলো তাদের কোর লেভেলে অত্যন্ত ইন্টার-অপারেটেবল।

শৃঙ্খলিত নয়ঃ ওয়েব সার্ভিসের ব্যবহারকারী এর সাথে সরাসরি শৃঙ্খলিত নয়। ওয়েব সার্ভিসের ইন্টারফেস নিয়তই বদলে যাচ্ছে, গ্রাহকের সেবা পাওয়ার ধরণ অপরিবর্তিত রেখেই। শৃঙ্খলিত সিস্টেমে ক্লায়েন্ট আর সার্ভার লজিক আবদ্ধ থাকে এমনভাবে যেন একটি আপডেট হলে অন্যটিও আপডেট করতে হবে ব্যবহার উপযোগী রাখতে হলে। শৃঙ্খলিত নয় এমন সিস্টেম বেশি স্থিতিস্থাপক আর বিভিন্ন সিস্টেমে সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও বেশি উপযোগী।

কোর্স গ্রেইনডঃ অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রযুক্তি (যেমন জাভা) স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে তাদের সার্ভিসকে প্রকাশ করে। কর্পোরেট লেভেলের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনের জন্য স্বতন্ত্র পদ্ধতি খুবই কার্যকর। স্ক্রেচ থেকে জাভা প্রোগ্রাম তৈরি করতে কিছু ‘ ফাইন গ্রেইনড’ পদ্ধতি প্রয়োজন যা একটি কোর্স গ্রেইনড সার্ভিসের মধ্যে আত্তীকরণ করা হয় যা হয় ক্লায়েন্ট অথবা অন্য কোনও সার্ভিস দ্বারা গৃহীত হবে।

সমপাতন বা বিসমপাতনের সক্ষমতাঃ এখানে সমপাতন বলতে ক্লায়েন্টের কাজের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নির্দেশ করে। অনিচ্ছাকৃত সমপাতনেরক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে অপেক্ষা করতে হয় পুনরায় সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সিস্টেম চালু করার আগ পর্যন্ত। বিসমপাতনের ক্ষেত্রে অপারেশন ক্লায়েন্টকে একটি সার্ভিসের জন্য অপেক্ষা করার সময় অন্য ফাংশন নিয়েও কাজ করতে পারে।

বিসমপাতনের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট পরবর্তী কোনও সময়ে তার ফলাফল ফেরত আনতে পারে, কিন্তু সমপাতনের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট কোনও সার্ভিস শেষ হওয়ার পর তার ফলাফল পায়। বিসমপাতনের সক্ষমতা আলগাভাবে যুক্ত সিস্টেমের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।

রিমোট প্রসেডিউর কল সাপোর্ট করেঃ ওয়েব সার্ভিস ক্লায়েন্টকে প্রক্রিয়া, ফাংশন, এক্সএমএলভিত্তিক প্রটোকল ব্যবহার করে রিমোট অবজেক্টের প্রক্রিয়াবিষয়ক সাড়াদানের উদ্দেশ্যে আবেদনের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। রিমোট প্রক্রিয়াগুলো ইনপুট ও আউটপুটের প্যারামিটারগুলোকে বিবৃত করে, যেগুলোকে ওয়েব সার্ভিস অবশ্যই সমর্থন করবে। গত কয়েক বছরে এন্টারপ্রাইজ জাভা বিন ও ডট নেট কম্পোনেন্টের মাধ্যমে বিকশিত কম্পোনেন্ট ডেভলাপমেন্ট স্থাপত্য ও এন্টারপ্রাইজ ডিপ্লয়মেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুটি প্রযুক্তিই বিভিন্ন রিমোট প্রসেডিউর কলের মাধ্যমে বন্টিত ও ব্যবহারযোগ্য।একটি ওয়েব সার্ভিস রিমোট প্রসেডিউর কলকে সাপোর্ট করে এর নিজের সার্ভিস প্রদান করে, যা এর ট্র্যাডিশনাল উপাদানের প্রতিসম, অথবা আগত ইনভোকেশনকে ইজেবি বা ডট নেট কম্পোনেন্টের ইনভোকেশনে রূপান্তরিত করানো।

ডকুমেন্ট এক্সচেঞ্জ সমর্থন করেঃ এক্সএমএলএর একটি বড় সুবিধা হল এটির ডাটা (এমনকি জটিল প্রকৃতির ডকুমেন্ট) প্রদর্শনের স্বভাবজাত দক্ষতা। এই ডকুমেন্ট এমন সরল হতে পারে যেমন এটি একটি সরল ‘বর্তমান ঠিকানা’ দেখাচ্ছে, আবার এটি এমন জটিলও হতে পারে, যা পুরো একটি বই, বা একটি কোটেশনের রিকোয়েস্টও হতে পারে। ডকুমেন্টের স্বচ্ছ আদানপ্রদান নিশ্চিত করে বাণিজ্যিক নিষ্ঠা রক্ষার ক্ষেত্রে ওয়েব সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ওয়েব সার্ভিসের স্থাপত্যঃ ওয়েব সার্ভিসের স্থাপত্য বোঝার জন্য দুটি উপায় আছে,
• প্রথমটি হল প্রতিটা ওয়েব সার্ভিস রোলের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিরীক্ষা করে দেখা
• দ্বিতীয়টি হল সংশ্লিষ্ট ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাকের বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করা।

ওয়েব সার্ভিসের রোলঃ ওয়েব সার্ভিস স্থাপত্যে তিনটি বড় ধরনের রোল থাকে,
সার্ভিস প্রভাইডারঃ এটি ওয়েব সার্ভিসের প্রভাইডার। সার্ভিস প্রভাইডার সার্ভিস প্রয়োগের ক্ষেত্র বাস্তবায়ন করে আর ইন্টারনেটে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।

সার্ভিস রিকোয়েস্টরঃ এটি ওয়েব সার্ভিসের যে কোনও ধরনের গ্রাহক। রিকোয়েস্টর নেটওয়ার্ক কানেকশন খুলে এক্সএমএল রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে কোন ওয়েব সার্ভিসের সুবিধা লাভ করে।

সার্ভিস রেজিস্ট্রিঃ এটি সার্ভিসের লজিকালি সেন্ট্রালাইজড ডিরেক্টরি। রেজিস্ট্রি একটি কেন্দ্রীয় স্থান তৈরি করে যেখানে ডেভলপাররা নতুন সার্ভিস প্রদর্শন করে অথবা পূর্বেই থেকে থাকা সার্ভিস খুঁজে নিতে পারে। এভাবে এটি বিভিন্ন কোম্পানির ও তাদের সেবার কেন্দ্রীয় ক্লিয়ারিং হাউজ হিসেবে বিবেচিত হয়।

ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাকঃ ওয়েব সার্ভিস স্থাপত্য অনুধাবনের আরেকটি উপায় হল সংশ্লিষ্ট ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাক নিরীক্ষণ করা। এটি এখনও গবেষণাধীন, কিন্তু এখন পর্যন্ত চারটি লেয়ার আছে এর।

সার্ভিস ট্রান্সপোর্টঃ এপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে ম্যাসেজ আদানপ্রদানের জন্য এই লেয়ার কার্যকর। বর্তমানে এই লেয়ারে থাকে এইচটিটিপি, এসএমটিপি, এফটিপি, এবং কিছু নতুন প্রটোকল যেমন ব্লক এক্সটেনসিবল এক্সচেঞ্জ প্রটোকল বা বিআইআইপি ।

এক্সএমএল ম্যাসেজিংঃ কমন এক্সএমএল ফরম্যাটে ম্যাসেজ এনকোডিঙের জন্য এই লেয়ার কার্যকর। বর্তমানে এই লেয়ারে আছে এক্সএমএল-আরপিসি আর এসওএপি।

সার্ভিস ডেসক্রিপশনঃ নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভিসে পাবলিকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নির্দেশ করে এই লেয়ার। বর্তমানে সার্ভিস ডেসক্রিপশন বিষয়টি ওয়েব সার্ভিস ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ডবলুএসডিএল এর আওতায় আলোচনা করা হয়।

সার্ভিস ডিসকভারিঃ এই লেয়ার সার্ভিসকে একটি কমন রেজিস্ট্রিতে কেন্দ্রীভূত করে ও পাবলিশ/ খুঁজে পাওয়ার ফাংশনালিটির প্রবর্তন করে। বর্তমানে ইউনিভার্সাল ডেসক্রিপশন, ডিসকভারি ও ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে সার্ভিস ডিসকভারিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ওয়েব সার্ভিসের বিবর্তনের সাথে সাথে নতুন নতুন লেয়ার এরসাথে সংযুক্ত হতে পারে, আর সেই সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তিও এতে সংযোজিত হতে পারে।

সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে কিছু কথাঃ ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাকের একদম নিচের ধাপ হল সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট। দুটি কম্পিউটারের মধ্যে এক্সএমএল ম্যাসেজ বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই লেয়ারের অবদান সর্বাধিক।

হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকলঃ বর্তমানে সার্ভিস ট্রান্সপোর্টের জন্য হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল খুবই জনপ্রিয়। হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইচটিটিপি খুব সরল, সুস্থিত, আর ব্যপকভাবে বিস্তৃত। এছাড়াও অধিকতর ফায়ারওয়াল এইচটিটিপি ট্র্যাফিক সমর্থন করে। এটি এক্সএমএল-আরপিসি আর এসওএপিকে এইচটিটিপি ম্যাসেজ রূপে ছদ্মবেশ ধারণ করতে সুযোগ করে দেয়। রিমোট এপ্লিকেশনের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য এটা ঠিক আছে, কিন্তু এটি বেশ কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিরও সৃষ্টি করে।

ব্লকস এক্সটেনসিবল এক্সচেঞ্জ প্রটোকল বা বিইইপিঃ এটি এইচটিটিপির আদর্শ বিকল্প। বিআইআইপি হল নতুন প্রটোকল তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্স ফ্রেমওয়ার্ক। বিআইআইপি টিসিপির উপর সরাসরি লেয়াররূপে থাকে, আর এতে ইনিশিয়াল হ্যান্ডসেক প্রটোকল, অথেনটিকেশন, সিকিউরিটি, এরর হ্যান্ডেলিং সহ অনেক বিল্ট ইন ফিচার থাকে। বিআইআইপি ব্যবহার করে যে কেউ বিভিন্ন এপ্লিকেশনের জন্য যেমন ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং, ফাইল ট্রান্সফার, কন্টেন্ট সিন্ডিকেশন, আর নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির জন্য প্রটোকল তৈরি করতে পারে।

এসওএপি কোনও ট্রান্সপোর্ট প্রটোকলের অধীনে শৃঙ্খলিত নয়। আমরা এইচটিটিপি, এসএমটিপি, এফটিপির সাথেও এসওএপি ব্যবহার করতে পারি। তবে বিআইআইপির সাথে এসওএপি ব্যবহার একটি ভাল আইডিয়া।

ওয়েব সার্ভিসের উপাদান ঃ বিগত কয়েক বছরে তিনটি প্রাথমিক প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছে যারা ওয়েব সার্ভিস প্রযুক্তির মূল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। এদের সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল,

এক্সএমএল-আরপিসিঃ বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এটি সবচেয়ে সরল ধরনের এক্সএমএল ভিত্তিক প্রটোকল।
• এক্সএমএল-আরপিসি সরল প্রটোকল যা আরপিসি সম্পাদনের জন্য এক্সএমএল ম্যাসেজ ব্যবহার করে।
• রিকোয়েস্ট এক্সএমএলএর মাধ্যমে এনকোডেড আর এইচটিটিপি পোস্টের মাধ্যমে প্রেরিত হয়।
• এক্সএমএল রেসপন্স এইচটিটিপি রেসপন্সের মধ্যে প্রোথিত থাকে।
• এক্সএমএল-আরপিসি প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ
• এক্সএমএল-আরপিসি অনেক এপ্লিকেশনকে আন্তঃ যোগাযোগের সুযোগ দেয়।
• জাভা ক্লায়েন্ট এক্সএমএল-আরপিসি থেকে পার্ল সার্ভারে যোগাযোগ করতে পারে।
• ওয়েব সার্ভিস শুরুর জন্য এক্সএমএল-আরপিসি সবচেয়ে সহজ উপায়।

এই বিষয়ে আরও জানতে আমাদের XML-RPC Tutorial . ভিজিট করুন।

এসওএপিঃ এসওএপি হল বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এক্সএমএল ভিত্তিক প্রটোকল।
• এসওএপি একটি যোগাযোগ প্রটোকল
• একাধিক এপ্লিকেশনে যোগাযোগের জন্য এসওএপি ব্যবহৃত হয়
• এসওএপি ম্যাসেজ প্রেরণের একটি ফরম্যাট।
• ইন্টারনেটে যোগাযোগের উপযোগী করে এসওএপিকে গড়ে তোলা হয়েছে।
• এসওএপি প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ
• এটি ল্যাঙ্গুয়েজ নিরপেক্ষ
• এটি সহজ ও সম্প্রসারনযোগ্য
• এটি ফায়ারওয়ালের সাথে সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে।
• এসওএপিকে ডবলুথ্রীসি এর উপযোগী মানের করে গড়ে তোলা হবে।
এসওএপি সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের টিউটোরিয়াল SOAP Tutorial.দেখতে পারেন।

ডবলুএসডিএলঃ ডবলুএসডিএল একটি এক্সএমএল ভিত্তিক ল্যাঙ্গুয়েজ যা ওয়েব সার্ভিস বিবৃত ও কীভাবে তাতে প্রবেশ করা যায় তা নিয়ে কাজ করে।

• ডবলুএসডিএল বলতে ওয়েব সার্ভিস ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝায়
• মাইক্রোসফট ও আইবিএমএর যৌথ প্রয়াসে ডবলুএসডিএল ডেভলাপড হয়েছিল
• বিকেন্দ্রীভূত ও বন্টিত পরিবেশে তথ্য আদানপ্রদানের এক্সএমএলভিত্তিক প্রটোকল হল ডবলুএসডিএল
• ডবলুএসডিএল কোনও ওয়েব সার্ভিস বিবৃত করার আদর্শ উপায়
• ডবলুএসডিএল জানায় কীভাবে কোনও ওয়েব সার্ভিসে প্রবেশ করতে হয় আর তা কি কাজ করতে পারে
• এক্সএমএলভিত্তিক সার্ভিসের সাথে কীভাবে সমন্বয় করতে হয় তা ডবলুএসডিএল বিবৃত করে
• ডবলুএসডিএল ইউডিডিআই এর অখণ্ড অংশ, যা এক্সএমএলভিত্তিক বিশ্বব্যপী বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রি।
• ইউডিডিআই যে ভাষা ব্যবহার করে তা হল ডবলুএসডিএল
• ডবলুএসডিএলের উচ্চারন হবে উইজ-ডাল ভিত্তিক, আর বানান করতে হবে ডবলু-এস-ডি-এল

এই বিষয়ে আরও জানতে আমাদের WSDL Tutorial.ভিজিট করুন।

ইউডিডিআইঃ ইউডিডিআই হল ওয়েব সার্ভিস বর্ণনা, পাবলিশ ও সন্ধান করার জন্য এক্সএমএল ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড।

• ইউডিডিআই মানে হল ইউনিভার্সাল ডেসক্রিপশন, ডিসকভারি এন্ড ইন্টিগ্রেশন
• ওয়েব সার্ভিসের ডিস্ট্রিবিউটেড রেজিস্ট্রির একটি স্পেসিফিকেশন হল ইউডিডিআই
• ইউডিডিআই প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ, ওপেন ফ্রেমওয়ার্ক সম্পন্ন বিষয়
• ইউডিডিআই এসওএপি, সিওআরবিএ, আর জাভা আরএমআই প্রটোকলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।
• ইউডিডিআই ওয়েব সার্ভিসের ইন্টারফেস বোঝাতে ডবলুএসডিএল ব্যবহার করে
• ইউডিডিআই এসওএপি ও ডবলুএসডিএলের পাশাপাশি ওয়েব সার্ভিসের অন্যতম মৌলিক ভিত্তি হিসেবে পরিগনিত হয়।
• ইউডিডিআই ওপেন ইন্ডাস্ট্রি ইনিশিয়েটিভ যা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

এই বিষয়ে আরও জানতে ভিজিট করতে পারেন UDDI Tutorial.।

ওয়েব সার্ভিসের উদাহরণঃ ওয়েব সার্ভিসের স্থাপত্যের উপর ভিত্তি করে ওয়েব সার্ভিসের প্রায়োগিক ক্ষেত্রকে আমরা দুটি উপাদানে ভাগ করতে পারি,

সার্ভিস প্রভাইডার অথবা পাবলিশারঃ এরা ওয়েব সার্ভিসের প্রভাইডার। সার্ভিস প্রভাইডার সার্ভিস বাস্তবায়ন ও ইন্টারনেট ও ইন্ট্রানেটে এদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।

আমরা ডটনেট এসডিকে ব্যবহার করে একটি সহজ ওয়েব সার্ভিস লিখে পাবলিশ করব ।

সার্ভিস রিকোয়েস্টর বা কাস্টোমারঃ এটি ওয়েব সার্ভিসের যেকোনো গ্রাহক। রিকোয়েস্টর নেটওয়ার্ক কানেকশন খুলে এক্সএমএল রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে ওয়েব সার্ভিস কাজে লাগায়।

আমরা দুটি ওয়েব সার্ভিস রিকোয়েস্টরও লিখব, একটা ওয়েব বেজড কনজুমার(এএসপি ডট নেট), আর অন্যটি উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক কনজুমার।

নিচে আমাদের প্রথম ওয়েব সার্ভিস উদাহরণ দেয়া হল যেখানে এটি ওয়েব সার্ভিস প্রভাইডার হিসেবে কাজ করে, আর দুটি পন্থা(এড আর ‘সে হ্যালো’) দেখিয়ে দেয় যেভাবে এপ্লিকেশনগুলো ওয়েব সার্ভিসকে ব্যবহার করে। এটি একটি ওয়েব সার্ভিসের জন্য আদর্শ টেমপ্লেট। ডটনেট ওয়েব সার্ভিস ডট এএসএমএক্স এক্সটেনশন ব্যবহার করে। মনে রাখা দরকার, ওয়েব সার্ভিস হিসেবে ব্যবহৃত একটি মেথড ওয়েবমেথড এট্রিবিউট ব্যবহার করে। আইআইএস ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিতে FirstService.asmx হিসেবে ফাইল সংরক্ষণ করতে হবে(আইআইএস কনফিগারের সময় বিবৃত করা হয়েছে, যেমন, c:\MyWebSerces)।

FirstService.asmx

using System;
using System.Web.Services;
using System.Xml.Serialization;

[WebService(Namespace="http://localhost/MyWebServices/")]
public class FirstService : WebService
{
[WebMethod]
public int Add(int a, int b)
{
return a + b;
}

[WebMethod]
public String SayHello()
{
return "Hello World";
}

কোনও ওয়েব সার্ভিসকে টেস্ট করার জন্য ভাল উপায় হচ্ছে একে পাবলিশ করা। ওয়েব সার্ভিসকে পাবলিশ করা যায় হয় ইন্টারনেটে, অথবা ইন্ট্রানেটে। একটি লোকাল মেশিনে রান হওয়া আইআইএসে আমরা এই ওয়েব সার্ভিসকে পাবলিশ করাব। আইআইএস কনফিগার করার মাধ্যমে শুরু করা যাক,

• স্টার্ট → সেটিংস → কন্ট্রোল প্যানেল → এডমিনিস্ট্রেটিভ টুল → ইন্টারনেট সার্ভিস ম্যানেজার
• ডিফল্ট ওয়েবসাইটকে এক্সপান্ড করে রাইট ক্লিক করে নিউ থেকে ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি ক্রিয়েশন উইজার্ড ওপেন করতে হয়। এরপর নেক্সট ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
• ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি অ্যালি স্ক্রিন দেখাবে। ভার্চুয়াল ডিরেক্টরির নাম টাইপ করতে হবে। ধরা যাক, MyWebServices নাম দিলাম । এরপর নেক্সট চাপ দিলাম।

• ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডিরেক্টরি ওপেন হবে।
• ভার্চুয়াল ডিরেক্টরির জন্য ডিরেক্টরি পাথ নেম দিতে হবে। যেমন, c:\MyWebServices । এরপর নেক্সট চাপতে হবে।
• এক্সেস পারমিশন স্ক্রিন দেখাবে। আমাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হবে। বর্তমান উদাহরণের জন্য ডিফল্ট সেটিংই রেখে দেয়া হল।
• এরপর নেক্সট চাপলে আইআইএস কনফিগারেশন সম্পন্ন হবে।
• ‘ফিনিশ’ চেপে কনফিগারেশন সম্পন্ন করা হবে।

আইআইএস কনফিগারেশন ঠিকমত সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিতে(C:\MyWebServices) এইচটিএমএল ফাইল (যেমন x.html)কপি করে রাখতে হবে। এখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ওপেন করে http://localhost/MyWebServices/x.html টাইপ করি। তাহলে x.html ফাইল দেখাবে।

মনে রাখতে হবে, এভাবে কাজ না হলে লোকাল হোস্টকে মেশিনের আইপি এড্রেস দ্বারা প্রতিস্থাপিত করতে হবে। এখনও কাজ না হলে দেখতে হবে আইআইএস চালু আছে কিনা, বা কাজ করছে কিনা। নাহলে পুনরায় আইআইএস আর ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিকে পুনরায় কনফিগার করার দরকার পড়তে পারে।

ওয়েব সার্ভিস টেস্ট করার জন্য আইআইএস ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি(C:\MyWebServices)তে FirstService.asmx কপি করতে হবে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ওয়েব সার্ভিসটি ওপেন করতে হবে (http://localhost/MyWebServices/FirstService.asmx) এটি আমাদের ওয়েব সার্ভিস পেজ ওপেন করতে পারে। আমাদের এপ্লিকেশন ওয়েব সার্ভিসের যে দুটি মেথড বিবৃত করে তার লিঙ্ক এই পেজে থাকতে পারে।

ওয়েব সার্ভিস টেস্টিংঃ আমরা যা দেখলাম, ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে ওয়েব সার্ভিস লেখা সহজ। ওয়েব সার্ভিস কনজুমার লেখাও ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে সহজ। আগে যা বলেছিলাম, আমরা দুটি ওয়েব সার্ভিস কনজুমার লিখব, একটা ওয়েব বেজড কনজুমার(এএসপি ডট নেট), আর অন্যটি উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক কনজুমার। চলুন প্রথমে ওয়েব বেজড কনজুমারটি লিখা যাক,

ওয়েব বেজড সার্ভিস কনজুমারঃ একটি ওয়েব বেজড কনজুমার নিচের মত করে লিখি। এটিকে WebApp.aspx নামে ডাকা যাক। মনে রাখতে হবে, এটি একটি এএসপি ডটনেট জাতীয় এপ্লিকেশন। এটিকে ওয়েব সার্ভিসের ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিতে(c:\MyWebServices\WebApp.axpx) সংরক্ষণ করা যাক।

এই এপ্লিকেশনের দুটি টেক্সটফিল্ড আছে যা সংযুক্ত হবে এমন ইউজারের নাম্বার পেতে সহায়তা করে। এটির একটি বাটন আছে ‘একজেকিউট’ যাকে টিপলে এড আর ‘সে হ্যালো’ ওয়েব সার্ভিস পেতে পারি।

WebApp.axpx

void runSrvice_Click(Object sender, EventArgs e){
FirstService mySvc = new FirstService();
Label1.Text = mySvc.SayHello();
Label2.Text = mySvc.Add(Int32.Parse(txtNum1.Text), Int32.Parse(txtNum2.Text)).ToString();
}

First Number to Add :
4

Second Number To Add :
5

Web Service Result -

Hello world Service :
Label

Add Service :
& Label

কনজুমার তৈরির পর আমাদের ওয়েব সার্ভিস কনজিউম করার জন্য প্রক্সি তৈরি করতে হবে। সংযুক্ত হওয়া কোনও ওয়েব সার্ভিসের রেফারেন্সিং এর সময় ভিজুয়াল স্টুডিয়ো ডট নেটের মাধ্যমে এই কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা নিচে ক্রমানুসারে দেয়া হল,

• যে ওয়েব সার্ভিস কনজিউমড হবে তার জন্য প্রক্সি তৈরি করা। ডটনেট এসডিকের সাথে সরবরাহকৃত ডবলুএসডিএল ইউটিলিটির মাধ্যমে প্রক্সি তৈরি হয়। এই ইউটিলিটি ওয়েব সার্ভিস থেকে তথ্য এক্সট্রাক্ট করে প্রক্সি তৈরি করে। কেবল মাত্র একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভিসের জন্য সেই প্রক্সি কার্যকর। অন্য কোনও ওয়েব সার্ভিসের জন্য প্রক্সি দরকার হলে সেই সার্ভিসের জন্য তা তৈরি করে নিতে হবে। ভিজুয়াল স্টুডিয়ো ডটনেট ওয়েব সার্ভিসের রেফারেন্সিং এর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রক্সি তৈরি করে নেয়। ডটনেট এসডিকের সাথে সরবরাহকৃত ডবলুএসডিএল ইউটিলিটির প্রয়োগে তৈরি ওয়েব সার্ভিসের জন্য প্রক্সি তৈরি করি, এইটা কারেন্ট ডিরেক্টরিতে FirstSevice.cs ফাইল তৈরি করবে। ওয়েব সার্ভিসের জন্য প্রক্সি(FirstService.dll) তৈরির জন্য আমাদের এটি কম্পাইল করে নিতে হবে।

• c:> WSDL http://localhost/MyWebServices/FirstService.asmx?WSDL
• c:> csc /t:library FirstService.cs
• ওয়েব সার্ভিসের ভার্চুয়াল ডিরেক্টরির বিন ডিরেক্টরিতে কম্পাইলড প্রক্সি রাখতে হবে(c:\MyWebServices\bin)।
• একইভাবে সার্ভিস কনজুমার তৈরি করতে হবে
• কনজুমারের ইউআরএল আইইতে টাইপ করতে হয় টেস্ট করার জন্য। যেমন, http://localhost/MyWebServices/WebApp.aspx ।

উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক ওয়েব সার্ভিস কনজুমারঃ উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক ওয়েব সার্ভিস কনজুমার লেখার পদ্ধতিটি উইন্ডোজের অন্যান্য এপ্লিকেশন লেখার মতই। আমাদের কেবল একটি প্রক্সি তৈরি করতে হবে(যা অলরেডি তৈরিই আছে) আর এপ্লিকেশন কম্পাইলের সময় সেই প্রক্সি রেফারেন্সিং করাতে হবে। এই এপ্লিকেশন একটি ওয়েব সার্ভিস অবজেক্ট তৈরি করবে, ‘সে হ্যালো ‘ কলের ব্যবস্থা করবে আর এতে মেথড যোগ করবে।

WinApp.cs
using System;
using System.IO;

namespace SvcConsumer{
class SvcEater
{
public static void Main(String[] args)
{
FirstService mySvc = new FirstService();
Console.WriteLine("Calling Hello World Service: " + mySvc.SayHello());
Console.WriteLine("Calling Add(2, 3) Service: " + mySvc.Add(2, 3).ToString());
}
}
}

c:>csc /r:FirstService.dll WinApp.cs ব্যবহার করে একে কম্পাইল করতে হবে। এটি WinApp.exe তৈরি করবে। ওয়েব সার্ভিস ও এপ্লিকেশন টেস্ট করতে এটিকে রান করাতে হবে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, আমরা কীভাবে বুঝব যে এই এপ্লিকেশন ওয়েব সার্ভিসকেই কল করছে?
এটি টেস্ট করা সহজ। আপনার ওয়েব সার্ভার বন্ধ করুন যাতে ওয়েব সার্ভিস যোগাযোগ না পেতে পারে। এখন WinApp এপ্লিকেশন চালান। এটি রানটাইম এক্সেপশন দেখাবে। এখন আবার ওয়েব সার্ভার চালু করুন, দেখবেন এটি কাজ করবে।

ওয়েব সার্ভিসের নিরাপত্তাঃ ওয়েব সার্ভিসের জন্য নিরাপত্তা স্পর্শকাতর বিষয়। এক্সএমএল আরপিসি, বা এসওএপি কোনটিই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বা অথেনটিকেশন নিশ্চিত করতে পারে না।

ওয়েব সার্ভিসের সাথে জড়িত তিনটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ইস্যু আছে,
• গোপনীয়তা
• অথেনটিকেশন
• নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি
গোপনীয়তাঃ যদি ক্লায়েন্ট সার্ভারে এক্সএমএল রিকোয়েস্ট পাঠায়, আমরা কি নিশ্চিত যে গোপনীয়তা বজায় থাকবে? এর উত্তর পাব নিচের বিষয়গুলোর সাপেক্ষে,
• এক্সএমএল আরপিসি, বা এসওএপি প্রাথমিকভাবে এইচটিটিপির উপর দিয়ে রান করে
• এইচটিটিপির সিকিউরড সকেট লেয়ারের জন্য সাপোর্ট আছে
• সিকিউরড সকেট লেয়ারের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ এনক্রিপটেড হয়
• সিকিউরড সকেট লেয়ার একটি পরীক্ষিত প্রযুক্তি, আর ব্যপকভাবে ব্যবহৃতও।

একটি একক ওয়েব সার্ভিস অনেকগুলো এপ্লিকেশনের সমন্বয়ে হয়ে থাকতে পারে। যেমন, একটি বড় সার্ভিস তিনটি এপ্লিকেশনের সার্ভিসের সমন্বয়ে হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সিকিউরড সকেট লেয়ার যথেষ্ট না, সার্ভিস পাথের প্রতিটা নডে ম্যাসেজগুলোর এনক্রিপটেড হওয়ার প্রয়োজন আছে। আর নডগুলো চেইনের পটেনশিয়াল দুর্বল লিঙ্ক নির্দেশ করে। এর কোনও সর্বজন গ্রাহ্য সমাধান না থাকলেও ডবলু থ্রি সি এক্সএমএল এনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ড নামের একটি উপায় আছে, আপনারা এখান থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন, http://www.w3.org/Encryption

অথেনটিকেশনঃ ক্লায়েন্ট যখন ওয়েব সার্ভিসে যোগাযোগ করে, তখন কীভাবে আমরা ইউজার চিনব? ইউজারের সার্ভার ব্যবহারের অনুমতি আছে কি? নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা যায় কিন্তু কোনও শক্তিশালী অথেনটিকেশন স্কিমের পরিষ্কার পরিসীমা নেই।

• বেসিক ও ডাইজেস্ট অথেনটিকেশনের এইচটিটিপি বিল্ট ইন সাপোর্ট দেয়, আর সার্ভিসগুলো এইচটিএমএল বর্তমানে যেভাবে সুরক্ষিত থাকে তেমনি ভাবে সুরক্ষিত থাকে।

• এসওএপি ডিজিটাল সিগনেচার পাবলিক কী ক্রিপ্টোগ্রাফিকে ডিজিটালি সাইন এসওএপি ম্যাসেজে রূপান্তরের কৌশল খোঁজে।
• অর্গানাইজেশন ফর দ্যা এডভান্সমেন্ট অফ স্ট্রাকচারড ইনফরমেশন স্ট্যান্ডার্ডস বা ওএএসআইএস, সিকিউরিটি এসারশন মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করছে।

নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিঃ বর্তমানে এর কোনও সহজ সমাধান নেই, আর অনেক বিতর্কও আছে। এক্সএমএল আরপিসি, বা এসওএপি ম্যাসেজ ফিল্টারিঙের চেষ্টা করার ইচ্ছা থাকলে একটি উপায় হল সমস্ত এইচটিটিপি পোস্ট যাদের কন্টেন্ট টাইপ টেক্সট বা এক্সএমএলএ সেট করা, তাদের ফিল্টার করা। আরেকটি বিকল্প হল এসওএপিএকশন এইচটিটিপি হিডার এট্রিবিউট ফিল্টার করা।

ওয়েব সার্ভিসের স্ট্যান্ডার্ডঃ ওয়েব সার্ভিস সংক্রান্ত সাম্প্রতিক স্ট্যান্ডার্ডগুলো হল,

ট্র্যান্সপোর্টঃ ব্লক এক্সটেনসিবল এক্সচেঞ্জ প্রটোকল বা বিআইআইপি এপ্লিকেশন প্রটোকল তৈরির একপ্রকারের ফ্রেমওয়ার্ক।

ম্যাসেজিংঃ ম্যাসেজিঙের গড়ন ও প্রকরণ ফ্রেমওয়ার্ককে বিকেন্দ্রিক ও বিতরণকৃত পরিবেশে তথ্য আদান প্রদানের সুযোগ করে দেয়।
বর্ণনা ও আবিস্কারঃ ওয়েব সার্ভিস তখনি কাজে লাগে যখন এটি ব্যবহারকারীর তথ্য ও সম্পাদনের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। বাণিজ্য, সংস্থা ও অন্যান্য ওয়েব সার্ভিস সেবা দানকারীর সাপেক্ষে বর্ণনা ও আবিস্কার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, যে কারিগরি ক্ষেত্র সেই সেবা লাভের ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়, তার সাথে সাথে।

নিরাপত্তাঃ এই নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যবহার করে এপ্লিকেশনগুলো নিরাপদ যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে যা সাধারণ ওয়েব সার্ভিসের ফ্রেমওয়ার্কের জন্য উপযোগী।

ব্যবস্থাপনাঃ ওয়েব সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা ওয়েব সার্ভিস স্থাপত্যের অধীনে অস্তিত্ব, প্রাপ্যতা, স্বাস্থ্য, পারফর্মেন্স, ব্যবহার, কন্ট্রোল ও কনফিফগারেশন, ইত্যাদি গুন সম্পর্কিত বিষয়ের সমন্বয়। যেহেতু ওয়েব সার্ভিস পরিব্যপিত হচ্ছে সর্বত্র, আর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জটিলতর হচ্ছে, তাই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%ac-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%b8-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%87%e0%a6%95-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a1/

Leave a Reply