ওয়েব জিএলঃ ভূমিকা

কয়েকবছর আগেও ওয়েবে থ্রিডি গ্রাফিক্স প্রক্রিয়া করার জন্য এপলেট ও জিএল এর সমন্বয়ে জিপিইউ বা গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিটের মাধ্যমে জাভা ব্যবহার করা হত। যেহেতু এপলেট রান করাতে জেভিএম ব্যবহার করতে হয় তাই জাভা এপলেট ব্যবহার করা সহজ ছিল না। কয়েক বছর পরে লোকে জাভা এপলেট ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়। এডোবি(ফ্ল্যাশ, এয়ার) দ্বারা উপস্থাপিত স্টেজ থ্রিডি এপিআই জিপিইউ হার্ডওয়ার চালিত কাঠামোর প্রস্তাবনা করে। এধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রোগ্রামাররা আইওএস ও এনড্রয়েড সহ ওয়েবের জন্য টু ডি ও থ্রি ডি দক্ষতা সম্পন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করতে শুরু করেন। যেহেতু ফ্ল্যাশ মালিকানা সম্পন্ন সফটওয়ার, একে তাই ওয়েব স্ট্যান্ডার্ডে ব্যবহার করা যেত না।

ওপেনজিএলঃ ওপেনজিএল বা ওপেন গ্রাফিক্স লাইব্রেরী একটি ক্রসল্যাঙ্গুয়েজ, ক্রস প্লাটফর্ম এপিআই যা টু-ডি ও থ্রি ডি গ্রাফিক্সের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আসলে কম্যান্ডের কালেকশন। ওপেন জিএলের সাথে সম্পর্কিত প্রযুক্তিগুলির একটি তালিকা নিচে দেয়া হল,

bla1

মনে রাখা দরকার, ওয়েব জিএলে শেডার লিখতে আমরা জিএলএসএল ব্যবহার করে থাকি।

ওয়েব জিএল কীঃ ওয়েব জিএল বা ওয়েব গ্রাফিক্স লাইব্রেরী 3D গ্রাফিক্সের জন্য একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড। এটি টু ডি গ্রাফিক্স ও ইন্টারেক্টিভ থ্রিডি গ্রাফিক্স রেন্ডারিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ওপেন জিএলের ইএস ২.০ লাইব্রেরী থেকে উদ্ভূত যা কিনা ফোন ও মোবাইলে ব্যবহৃত নিম্ন শ্রেণীর থ্রিডি এপিআই। ওয়েবজিএল ইএস ২.০ একই ধরনের ফাংশনালিটির এবং আধুনিক থ্রিডি গ্রাফিক্স হার্ডওয়ারে ভাল পারফর্ম করতে পারে।

এটি একটি জাভাস্ক্রিপ্ট এপিআই যা এইচটিএমএল ফাইভের সাথে ব্যবহৃত হতে পারে। এইচটিএমএল ফাইভের কিছু নির্ধারিত ফিচার আছে থ্রিডি গ্রাফিক্স যেমন টু ডি ক্যানভাস, ওয়েব জিএল, এসভিজি, থ্রিডি সিএসএস ট্রান্সফর্ম ও এসএলআইএল ইত্যাদিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। ওয়েবজিএল কোড এইচটিএমএলের ট্যাগের মধ্যে লেখা হয়। এটি সেই ধরনের বৈশিষ্ট্য যা ইন্টারনেটের ব্রাউজারকে তারা যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত হচ্ছে তাতে অবস্থিত গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউতে প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

ওয়েবজিএলকে কে ডেভলাপ করেছেঃ ভ্লাদিমির ভুকিসেভিচ নামক একজন আমেরিকান-সার্বিয়ান সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ওয়েবজিএল সৃষ্টি ও ডেভলাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেন।

• ২০০৭ সালে ভ্লাদিমির এইচটিএমএল ডকুমেন্টে ক্যানভাস এলিমেন্টের প্রোটোটাইপের জন্য ওপেনজিএল এর উপর কাজ করা শুরু করেন।
• ২০১১ সালের মার্চে ক্রনস গ্রুপ ওয়েবজিএল সৃষ্টি করে।

যেসব ব্রাউজার সাপোর্ট করেঃ ওয়েব জিএল সাপোর্ট করে এমন সব ব্রাউজারের তালিকা নিচের ছকে দেয়া হল,
bla

ওয়েবজিএল এর সুবিধা সমূহঃ

জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিংঃ ওয়েবজিএল এপ্লিকেশন জাভাস্ক্রিপ্টে লেখা হয়। এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমরা এইচটিএমএল ডকুমেন্টের উপাদানের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারি। ওয়েবজিএলের এপ্লিকেশনকে সমৃদ্ধ করার জন্য অন্যান্য জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী ও এইচটিএমএল প্রযুক্তিও ব্যবহার করা যায়।

মোবাইল ব্রাউজারের জন্য ক্রমবর্ধমান সাপোর্টঃ ওয়েবজিএল আইওএস সাফারি, এন্ড্রয়েড ব্রাউজার ও এন্ড্রয়েডের জন্য ক্রোম ইত্যাদিও সাপোর্ট করে।

ওপেন সোর্সঃ ওয়েবজিএল ওপেনসোর্স। আমরা লাইব্রেরীর সোর্স কোডে প্রবেশ করতে পারি, বুঝতে পারি এটি কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ডেভলাপড হল এসবও বুঝা যায়।

কম্পাইলেশনের দরকার নাইঃ জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত হাফ-প্রোগ্রামিং আর হাফ এইচটিএমএল কম্পোনেন্ট। এই স্ক্রিপ্ট সম্পাদনের জন্য ফাইলকে কম্পাইল করার কোনও দরকার নেই। বরং আমরা ব্রাউজার ব্যবহার করে সরাসরি ফাইল ওপেন করে ফলাফল দেখতে পারি। মূলত জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ডেভলপ করায় এদের কম্পাইল করার কোনও দরকার হয় না।

স্বয়ংক্রিয় মেমোরি ব্যবস্থাপনাঃ জাভাস্ক্রিপ্ট স্বয়ংক্রিয় মেমোরি ব্যবস্থাপনা সমর্থন করে। ম্যানুয়ালি মেমোরি বরাদ্ধের কোনও দরকার হয় না। ওয়েবজিএল জাভাস্ক্রিপ্টের এই সুবিধাটি আত্মস্থ করে নেয়।

সেট আপ করা সহজঃ যেহেতু ওয়েবজিএল এইচটিএমএল ফাইভের সাথে সমন্বিত, তাই বাড়তি কোনও সেট আপ সংযোজনের দরকার নাই। ওয়েবজিএল এপ্লিকেশন লেখার জন্য কেবল মাত্র একটি ব্রাউজার ও টেক্সট এডিটর দরকার । আর তেমন কিছুর দরকার পরে না।

এনভায়রনমেন্ট সেট আপঃ ওয়েবজিএলের জন্য পৃথক কোনও এনভায়রনমেন্ট সেট আপের প্রয়োজন হয় না। যেসব ব্রাউজার ওয়েবজিএল সাপোর্ট করে সেগুলোর ওয়েবজিএলের জন্য নিজস্ব বিল্ট ইন সেট আপ করাই থাকে।

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%ac-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%83-%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be/

Leave a Reply